আমাদের মধ্যে যে বা যারা ফেসবুকে তুলনামূলকভাবে বেশি আসক্ত, তাদের কাছে ফেসবুক অটো লাইক ব্যাপার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যপার হিসাবে মাথায় ঘোরপাক খায়।
ব্যাপারটা এরকম যে, ফেসবুকে আপনার যদি ৫হাজার বন্ধুবান্ধব থেকেও থাকে, তাহলে ফেসবুকের যেকোনো স্ট্যাটাসের যথেষ্ট পরিমাণে লাইক পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এছাড়াও আপনি যদি ফেসবুক স্ট্যাটাসের রিয়েক্ট প্রেমিক হয়ে থাকেন, তাহলে ফেসবুকে বেশি লাইক নেয়ার দিকে নজর দিতে দেখা যায়। এই আর্টিকেলের মূলত এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
আর এই আর্টিকেলের মূলত আলোচনা করা হবে Facebook Auto like সম্পর্কে তাহলে আর দেরি না করে এখনি এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
1.ফেসবুক অটো লাইক নেয়ার সেটিং
2.ফেসবুক অটো লাইক
3.অটো-লাইক এর সুবিধা অসুবিধা
3.1.অটো লাইক এর সুবিধা
3.2.অটো লাইক নেয়ার অসুবিধা
ফেসবুক অটো লাইক নেয়ার সেটিং
আপনি যদি Facebook অটো লাইক নিতে চান, তাহলে আপনার ফেসবুক আইডির সাথে যে সমস্ত রিটারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে একটি সম্মুখ তথ্য নিচে দেয়া হল।
ﻣﻌﺮﻓﺔ ﺳﻮﺭﻳﺎ ﻋﻠﻰ ﺗﻘﺎﺭﻳﺮ ﻭﺗﺤﻠﻴﻼﺕ ﻣﻌﻤﻘﺔ ﻟﻠﺸﺄﻥ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﺘﻘﺎﺭﻳﺮ ﺣﻮﻝ
ﺍﻟﻤﺰﻳﺪ ﻃﻮﻝ ﺍﻟﺴﻮﺭﻱ ﺳﻮﺭﻳﺎ
ফেসবুক আইডির প্রত্যেকটি স্ট্যাটাস অবশ্যই পাবলিক হবে। অর্থাৎ ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাসের প্রাইভেসি পাবলিক করা থাকতে হবে।
যে ফেসবুক আইডিতে আপনি অটো লাইক নিতে চান এই আইডিতে আপনার বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
আর উপরে উল্লেখিত ২ টি রুলস যদি আপনার ফেসবুক আইডির সাথে মিলে যায় বা এই দুইটি সেটিং যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে করা থাকে তাহলে আপনি অটো লাইক নিতে পারবেন।
ফেসবুক অটো লাইক
আপনি যদি ফেসবুকে কিছু সময় পর পর অটো লাইক নিতে চান এবং ফেসবুকে যেকোনো স্ট্যাটাসের লাইকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সেটি খুব সহজেই করতে পারবেন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহযোগিতায় এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের সহযোগিতায় Facebook Auto like নেয়ার জন্য প্রথমত নিম্নলিখিত লিংকে ভিজিট করুন এবং তারপরে আমার দেয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী অটো লাইক নেয়ার কাজ চালিয়ে যান।
Auto Liker
যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করবেন, তখন আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করার মাধ্যমে Access Token ক্রিয়েট করে নিতে হবে।
যখনই উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করবেন, তখন STEP 1: Click Here নামের যে বাটন পাবেন, সেই বাটন এর উপরে ক্লিক করুন।
ফেসবুক অটো লাইক
তাহলে আপনাকে অন্য আরেকটি ওয়েবপেইজে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করে নিতে পারবেন।
মূলত, আপনি যে ফেইসবুক আইডিতে অটো লাইক নিতে চান, সেই ফেসবুক আইডির ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার কাজ সম্পন্ন করে নিন।
ফেসবুক অটো লাইক
লগইন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনাকে একটি আ্যাক্সেস টোকেন দেয়া হবে, সে টুকেন কপি করে নিন এবং তারপরে পূর্ববর্তী পেইজে চলে আসেন।
পূর্ববর্তী পেয়েছে চলে আসার পরে সেখানে যে টুকেন দেয়ার বক্স রয়েছে সেই Access টুকেন দিয়ে দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে অটো লাইক নেয়ার যে পেইজ রয়েছে সেই পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে।
ফেসবুক অটো লাইক
আর তারপরে স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করার মাধ্যমে আপনি Facebook Auto like সুবিধা নিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে Auto লাইক নিতে চান, তাহলে প্রথমে নিম্নলিখিত লিংক থেকে অটো লাইক নেয়ার যে সফটওয়্যার রয়েছে সেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিন।
Download APP
যখনই উপরে উল্লেখিত লিংক থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কাজ সম্পন্ন করে নিবেন, তখন এই সফটওয়্যারে ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন।
Step:1 লগইন করে নেয়ার পরে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যে সমস্ত ছবি কিংবা অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারবেন।
এবার এ সমস্ত ছবি থেকে আপনার পছন্দের যে ছবি রয়েছে যে ছবিতে আপনি অটো লাইক নিতে চান, সেই ছবি সিলেক্ট করে নিন।
Step:2 এবং তারপরে যে সমস্ত স্টেপ ফলো করতে হবে সেই সম্পর্কিত স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হল।
Step:3
আর উপরে উল্লেখিত উপায়ে আপনি চাইলে খুব সহজেই সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে Facebook অটো লাইক নিয়ে নিতে পারবেন।
অটো-লাইক এর সুবিধা অসুবিধা
আপনি যদি Auto লাইক নেন, তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি কিংবা ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুবিধা অসুবিধার মধ্যে সম্মুখীন হবেন, যে গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
অটো লাইক এর সুবিধা
অটো লাইক এর সুবিধা হলো আপনি খুব অল্প সময়ে ফেসবুক আইডিতে অধিক পরিমাণে লাইক দিন বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
ফেসবুক আইডির পপুলারিটি বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক আইডি একটি ফেমাস আইডি তে রূপান্তর করতে পারবেন।
ফেসবুক আইডির অ্যাক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
যে কেউ আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দেখলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে কিংবা গ্রহণ করে নিতে বাধ্য হবে।
মূলত, এগুলোই হল ফেসবুকে আপনি যদি অটোমেটিক লাইক নিয়ে থাকেন তাহলে এই অটোমেটিক লাইক নেয়ার যে সুবিধা রয়েছে সেই সমস্ত সুবিধা।
অটো লাইক নেয়ার অসুবিধা
অধিকহারে অটো লাইক নেয়ার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক আইডি টেম্পোরারি ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
ট্রাস্টেড ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অটো লাইট না নিলে আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অটো লাইক নেয়ার মাধ্যমে ফেসবুক আইডি ফেসবুক কিংবা অন্যান্য ডিজেবল সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগতে পারেন।
আপনার ফেসবুক আইডি থেকে আপনি এরকম আইডিতে কিংবা স্ট্যাটাসে আপনি লাইক দিয়ে দিবেন, যেগুলোতে আপনি কখনো লাইক কিংবা রিয়েক্ট করেননি।
অটোমেটিকলি যে কারো কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট চলে যাবে।
অটোমেটিকলি আপনি অন্য কারো ফলোয়ার হয়ে যাবেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যে স্টোরি আসে সেখানে অযাচিত ব্যক্তিদের স্টোরি আসা শুরু হবে, যাদেরকে আপনি কখনো ফলো করেননি।
এছাড়াও এই Auto লাইক নেয়ার মাধ্যমে আপনার আইডিতে আরো নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্য হিসাবে যে অসুবিধা বা সমস্যা চিন্হিত করা যায় সেগুলো উপরে মেনশন করা হয়েছে।
তবে অটো লাইক নেওয়ার পরে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং সংক্রান্ত জটিলতা থেকে বের করে আনার জন্য, যে সমস্ত সাইট থেকে কিংবা অ্যাপস থেকে Auto লাইক নিয়েছিলেন যে সমস্ত সাইট এবং আপনার ফেসবুক আইডি থেকে রিমুভ করে দিন।
আর কিভাবে খুব সহজে ফেসবুক আইডি থেকে অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রিমুভ করতে হয়, সেই সম্পর্কে ওয়েবসাইটে আরেকটি আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে।
যার লিংক নিচে দেয়া হল।
ফেসবুক আইডি থেকে অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রিমুভ
উপরে উল্লেখিত আর্টিকেল এর সহায়তায় আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক আইডি অযাচিত অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইট থেকে রিমুভ করে নিতে পারবেন।
আর এটি হলো Facebook অটো লাইক নেয়ার উপায় এবং ফেসবুক অটো লাইক নেয়ার যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা অসুবিধা হয়েছে সেই সম্পর্কে একটি তথ্য।